অন্যান্য
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় তা রক্তশূন্যতা জনিত সমস্যা দূর করতে পারে।মাশরুম রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। মাশরুমে রয়েছে পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে। কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান এরিটাডেনিন, লোভাস্ট্যাটিন, এনটাডেনিন, কাইটি রয়েছে মাশরুমে। তাই মাশরুমকে খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মানুষের শরীরের দুটি প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনল ও সেলেনিয়াম রয়েছে মাশরুমে। এগুলো স্ট্রোক, নার্ভের রোগ এবং ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
মূলত স্তন ক্যান্সার এবং প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে মাশরুমের কোনও তুলনা নেই।ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে ও হাড়ের ব্যথা কমাতে মাশরুমের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।মাশরুমে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে খেতে পারেন মাশরুম, কারণ এটি ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে।মাশরুমে থাকা এনজাইম খাবার হজম করায় ও অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কাজ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।বয়সজনিত কারণে যে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার রোগ প্রতিরোধ করে মাশরুম। নিয়মিত মাশরুম খেলে হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিস প্রতিরোধ করা ও সম্ভব।মাশরুমে সোডিয়ামের পরিমাণ খুব কম, এটি কিডনি সংক্রান্ত রোগ হওয়া থেকেও বাঁচাতে পারে।
মাশরুমের কোপ্তা
উপকরণঃ
মাশরুম ২৫০ গ্রাম,
বেসন ৩ টেবিল চামচ,
হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ,
মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ,
লবণ ১ চা চামচ,
সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ মাশরুম পরিষ্কার করে ধুয়ে বেটে নিন। সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিন। প্রয়োজনে সামান্য পানি দিন।ছোট ছোট বল বানিয়ে ডুবো তেলে ভেজে তুলুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।
মাশরুম ফ্রাই
উপকরণঃ
মাশরুম ২০-২৫ টি (২০০গ্রাম),
ছোলার বেসন ২০০ গ্রাম,
চালের গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ,
ডিম ২ টি,
লবণ পরিমাণমতো,
সয়াবিন তেল পরিমাণমতো।
প্রস্তুত প্রণালীঃ একটি পাত্রে বেসন ও চালের গুঁড়ো পরিমাণ মতো পানি ও লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন। ডিম ভেঙে মিশ্রণের মধ্যে মিশিয়ে নিন।কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম করে একটি করে মিশ্রণে ডুবিয়ে ভেজে নিন।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : আয়ান আইটি